শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০২ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালীর বাউফল সদর ইউনিয়নের অলীপুরা গ্রামের আবুল হোসেন প্যাদার ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে মোসা: মাফিয়া আক্তার(১৪) ও একই গ্রামের জাকির হোসেন খাঁনের ছেলে মোঃ সুজন(১৮) মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা ,২০০৯এর বিধি ২৮(১)(ক) অনুযায়ী বিবাহ কার্য নিস্পন্ন না করে স্বামী স্ত্রীর ন্যায় জিবন যাপন করিতেছে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়। সুজনের বাবা জাকির বাউফল ছালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অফিস সহকারী হিসাবে কর্মরত আছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাফিয়াকে বিয়ে করার জন্য সুজন দীর্ঘ দিন যাবৎ পায়তারা করে আসছে, কিন্তু ছেলে মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় স্থানীয় কোন কাজী বিয়ে পড়াতে রাজি হয়নি। পরে উভয় পরিবারে লোকজন সম্প্রতিক গভীর রাতে ছেলেদের বাড়ীতে বসে বাউফল ছালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসার এক ছাত্রকে দিয়ে কলেমা বিয়ে সম্পান্ন করেন।
এর পর থেকেই মাফিয়া- সুজন স্বামী স্ত্রীর ন্যায় জীবন যাপন করে আসছে। যা সম্পূর্ন আইন বিরোধী। এব্যাপারে মাফিয়ার সাথে কথা বলার জন্য মাফিয়ার শশুর বাড়িতে যোগাযোগ করা হলে তারা মাফিয়া ও সুজনকে আড়াল করে রাখে। এসময় সুজনের বড় ভাই কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের সাথে বিভিন্ন তর্কে ছড়িয়ে পড়েন। এসময় সুজনের বাবা সাংবাদিকদের প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি। অপর দিকে মাফিয়ার বাবা আবুল হোসেন জানায়, মেয়ে বড় হইছে বিয়ে দিছি।
কাজী বিয়ে পড়ায় না তাই কলেমা পড়িয়ে দিছি । এটা দোষের কিছু না। হোসনাবাদ (বাউফল) মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, মাফিয়া ৮ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী। তার ক্লাশ রোল নয়। এসময় ঘটনার বিবরণ শুনে মাদ্রাসার সহ-সুপার আবু হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, এটা কৌশলে বাল্যবিবাহ। এর সাথে উভয় পরিবারে লোক জড়তি। এসময় তিনি আরো বলেন, বাল্য বিবাহ সামাজিক ব্যাধি, এটার থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এব্যাপারে স্থানীয় সচেতন ব্যাক্তিরা বলেন, বাল্যবিবাহ ভয়াবহ রুপ ধারন করছে।
প্রতিনিয়ত বাল্যবিবাহ হচ্ছে, এই সামাজিক অভিশাপ থেকে বাচাঁর জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তর, মহিলা বিষায়ক অধিদপ্তর, পুলিশ প্রশাসন ও ইউএনও মহোদয়সহ সকলকে অগ্রানী ভ’মিকা পালন করতে হবে। তারা আরো বলেন, দুই একজনকে শাস্তি দিলে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়বে।
Leave a Reply